প্রসঙ্গ: বই পড়া
কথিত আছে যে, একদিন সক্রেটিস তাঁর স্ত্রী জ্যানথিপির বাক্যবাণে
জর্জরিত হয়ে গৃহের বাইরে এসে পুস্তক পাঠে মনোনিবেশ করেছিলেন।
“বই আমাদের কেন পড়তে হবে? বই না পড়লে চাকরি বাকরি পাওয়া যাবে না, কর্মসংস্থান হবে না? বিষয়টি তা নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই জরুরী ও অপরিহার্য। সেটি করতে হবে এবং ভালো করেই করতে হবে। কিন্তু এর সংগে সংগে যে পাঠ আমাদের জ্ঞান সীমানা সম্প্রসারণ করতে, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জানতে, বিশ্ব জগতের সৃষ্টি রহস্য, বিশ্বের ইতিহাস, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি, বিশ্বের সেরা চিন্তাবিদদের চিন্তাভাবনা, জীবনদর্শন, রাজনীতি-অর্থনীতি-দর্শন ইত্যাদি জানতে সহায়তা করে, সেই পাঠের সংগে আমাদের যুক্ত থাকতেই হবে। এটিই প্রকৃত জ্ঞানার্জন, প্রকৃত পড়া। বই আমাদের মনের পুষ্টি জোগায়, মনকে উদার ও মানবিক করে তোলে, জীবনের শ্বাশত সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে এবং মানুষকে ভালবাসতে শেখায়। বই না পড়ার কারণে আমাদের তরুণরা যুক্তি ও কুযুক্তির তফাত বুঝতে পারে না। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমাদের শিক্ষার্থীদের যুক্তিহীন, একগুঁয়ে ও স্বার্থপর মানুষ তৈরী করবে। তাই এর পাশাপাশি অবশ্যই বিভিন্ন লেখকের উচ্চতর চিন্তাভাবনার নির্যাসপ্রসূত বই আমাদের পড়তে হবে, অনুজদের পড়াতে হবে, জাতীয়ভাবে অভ্যাস গড়াতে হবে, যাতে তারা বই পড়ে।”
একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৯ এ এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।
বিনীত ভাবেই
মোহাঃ আব্দুর রাজ্জাক
ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ
ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া।