কলেজের ইতিহাস
একটি দেশ, একটি জাতীকে এগিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আগে মাকে (নারীকে) সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া জরুরী। বিষয়টি উপলব্ধি করে নারী শিক্ষার প্রসারকল্পে বিগত শতাব্দির নব্বই’র দশকে মোহাঃ আব্দুল রাজ্জাক রাজা, জগশ্বর. ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া (বর্তমান অধ্যক্ষ) ভেড়ামারা শহরে একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেন । এবং সর্বজনাব হাসানুল হক ইনু, (মাননীয় সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং তথ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার), প্রয়াত গ্রুপ ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ( অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার), সৈয়দ আবু রায়হান, UNO ভেড়ামারা, প্রয়াত ডাঃ মনোয়ারুল আলম মুনু ডাক্তার, (সাবেক চেয়ারম্যান ভেড়ামারা পৌরসভা), মোঃ শফিউল ইসলাম কুব্বাত (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগ), মোঃ মহসীন রেজা (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ভেড়ামারা উপজেলা শাখার অন্যতম নেতা), প্রয়াত রনজিৎ কুমার সিংহ রায়, (ভেড়ামারা উপজেলা জাসদ ও জাতীয় শ্রমিক জোট কুষ্টিয়া’র অন্যতম নেতা, মোঃ আব্দুল আলীম স্বপন (সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা জাসদ), প্রয়াত অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আমিরুল ইসলাম, এ.কে.এম হাসানুজ্জামান (কামাল হাজী), আলহাজ্ব মোঃ আতিয়ার রহমান, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম, আলহাজ্ব মোঃ ইউসুফ আলী প্রয়াত আলহাজ্ব আলী আকবর , প্রয়াত শহীদুল্লাহ লালু (ভিসি শহীদুল্লাহ), মোঃ ওমর আলী, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিদুল ইসলাম ইয়া, প্রয়াত মজিবুল হক মাঙ্গন সাহেব (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ), প্রয়াত সিরাজুল হক দুদু (চেয়ারম্যান ভেড়ামারা পৌরসভা ), প্রয়াত ইমান আলী, প্রয়াত মোয়াজ্জেম হোসেন (চেয়ারম্যান, চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ) প্রমুখ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের সক্রিয় সমর্থন/সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় সর্ব সাধারণের দানে-অবদানে “আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি দেব,সম্রাট নেপোলিয়নের এ অমর বাণীকে ধারণ করে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে অত্র ভেড়ামারা মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় । কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলাধীন ভেড়ামারা পৌরসভার দক্ষিণ রেলগেট হতে চৈতন্য মোড় সড়কের মাঝামাঝি ভেড়ামারা মহিলা কলেজের অবস্থান । ১৬/১১/১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর ০১/০৭/১৯৯৫ ইং তারিখে হইতে ৩০/০৬/১৯৯৬ ইং তারিখ পর্যন্ত কেবল মাত্র এক বৎসরের জন্য সম্পূর্ণ পরিক্ষামূলক ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ সাময়িক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করে এবং সেইসঙ্গে ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্রীদের ভর্তির পোষ্ট ফ্যাক্টো অনুমতি প্রদান করে । সেই থেকে প্রায় দুই বৎসরের জন্য কলেজটির পঠনপাঠনের কাজ চলে ভেড়ামারা শহরের হাইরোডের আহসান কোম্পানির দ্বীতল ভবনে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই কলেজে বিএ, বিএসএস (পাস) কোর্সে পাঠদানের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কেবলমাত্র এক বৎসরের জন্য প্রথম অধিভুক্তি প্রদান করে । ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষ হইতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) শিক্ষা কার্যক্রমে কম্পিউটার অপারেশন এবং সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স স্পেশালাইজেশনে সাময়িকভাবে অ্যাফিলিয়েশন প্রদান করে । ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক (সম্মান) শিক্ষা কার্যত্রমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও ২০১৫-২০১৬ শিক্ষা থেকে বাংলা, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পাঠ দানের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অধিক অধিভূক্তি প্রাপ্ত । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মেয়েদের শিক্ষা সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভেড়ামারা মহিলা মহিলা কলেজ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে । নানা প্রতিকুলতা ডিঙ্গিয়ে কলেজটি বর্তমানে একটি বিশিষ্ট কলেজের রূপ লাভ করেছে।